ঈদগাঁও প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আ’লীগ নেতা মুবিন মেম্বারের বিরুদ্ধে বনের গাছ নিধন, অবৈধ বালি উত্তোলন, জমি দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে।ইতিমধ্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জের পূর্ণগ্রাম বনবিটের আওতাধীন বিশাল জায়গা কর্তাবাবুদের ম্যানেজ করে লাল পতাকা পুতে দখলে নিয়েছে। এমনকি অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর দু’পাড় পানির সাথে মিশে গেছে।মুলতঃ আ’লীগ সরকারের দাপট দেখিয়ে অভিযুক্ত মুবিন মেম্বার পূর্ণগ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের একমাত্র যাতায়ত পথটি বিগত ৪মাস ধরে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে এলাকাবাসী অবরুদ্ধ এবং ওই অর্ধশতাধিক পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে পড়েছে। তবে, মুবিন মেম্বার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা। এদিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রামের সমাজ সেবক, মক্কা প্রবাসী বিএনপি নেতা, ভিলিজার নুরুল আবছার মুবিন মেম্বারের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেন। এ প্রবাসী নেতাকে বিগত স্বৈরাশাসকের আমলে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানীসহ জেলে পাঠান আ’লীগের দোসররা।দীর্ঘ দিন ধরে গড়ে উঠা মুবিন মেম্বার সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন, বন উজার করে গাছ কেটে প্রকাশ্যে ডাম্পার ভর্তি করে নিয়ে গেলেও বনবিভাগ দেখে ও না দেখার ভান করে রয়েছে। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন মুবিন মেম্বার।জানতে চাইলে পূর্ণগ্রাম বনবিটের হেডম্যান শাহ আলম জানান, আবছারের পিতা প্রকৃত ভিলিজার। পিতার মৃত্যুর পর সে কাজ করছে। তার কিছু ভিলিজারি জমি দখল বেদখলে রয়েছে।বনবিভাগের জমিতে লাল পতাকা ও জায়গা দখল সম্পর্কে পূর্ণগ্রাম বনবিট কর্মকর্তা মুবিনুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দু’জনই জবরদখলকারী, তাদের সাথে আমাদেরকে না জড়ালে ভাল হই।
বনজায়গিরদার নুরুল আবছার ভুমিদস্যু মুবিন মেম্বারের কবল থেকে একমাত্র যাতায়তের পথটি উদ্ধার, তার অধীনস্থ বনের ভিলিজারি জমি হতে লাল পতাকা তুলে নিতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর গত ১৬ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পাঠকের মতামত